আমরা কাঁচা দুধ পান করতে পারি না, তবে প্যাকেটজাত দুধ গরম না করে পান করা কি ঠিক না ভুল?
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত দুধ পান করা প্রয়োজন। প্রতিদিন দুধ পান করলে শরীরে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, প্রাকৃতিক চর্বি, ক্যালরি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-২, পটাসিয়াম এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা শুধু হাড়েরই নয়, পুরো শরীরের জন্যই উপকার করে। গ্রামীণ বা শহুরে এলাকাই হোক, অনেকেরই প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া যায়।
অনেকেই এই দুধ পান করতে পছন্দ করেন। কিন্তু প্যাকেটজাত দুধ সিদ্ধ না কাঁচা পান করা উচিত? এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনার মাথায় এসেছে। তবে পাস্তুরিত দুধ ফুটানোর দরকার নেই। কারণ এটি ইতিমধ্যে ব্যাকটেরিয়া হত্যার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে। তাই প্যাকেটজাত দুধ সিদ্ধ না করেও পানযোগ্য (Should you boil milk before drinking it?)
কর্নেল ইউনিভার্সিটির খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের মতে, ‘পাস্তুরিত দুধ কাঁচা দুধের চেয়ে বেশি সময় সংরক্ষণ করা যেতে পারে। কাঁচা দুধে রয়েছে কোলি, সালমোনেলা এবং অন্যান্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। এই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া আমাদের অন্যান্য রোগ সৃষ্টি করে।’
এ প্রসঙ্গে প্রযুক্তিবিদ সঞ্জীব তোমর বলেন, ‘দুধের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সব সময় দুধ ফুটিয়ে পান করতে হবে। কাঁচা দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। এটি মূলত গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যেখানে প্যাকেটজাত দুধ পাস্তুরিত হয়। যা আমরা দুগ্ধ থেকে পাই। এই দুধ বিভিন্ন ধরণের পাস্তুরাইজেশনের মধ্য দিয়ে যায়, যা অমেধ্য, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবকে ধ্বংস করে। তাই আপনি এই দুধ না ফুটিয়ে পান করতে পারেন।’
দুধ ফুটিয়ে পান করা উচিত?
পাস্তুরিত দুধ ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশোধিত হয়। দুধ বারবার সিদ্ধ করলে এর প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে, যা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। দুধ বারবার ফুটিয়ে খেলে এর ভিটামিনের পরিমাণ কমে যায়। এটি শুধু ক্যালসিয়াম শোষণই কমায় না, হাড়ও দুর্বল করে দেয়।
দুধ ফুটানোর গুরুত্বপূর্ণ টিপস
আপনি যদি দুধ ফুটিয়ে পান করতে চান তবে এটি ১০ মিনিটের বেশি সিদ্ধ করবেন না। এক গ্লাস দুধ প্রায় ৪ থেকে ৫ মিনিটের বেশি ফুটানো উচিত নয়। দুধ ফুটানোর পর ফ্রিজে রেখে দিন। পাস্তুরিত দুধ ফুটানোর পরিবর্তে এটিকে হালকা গরম করুন।