শরীরের বিভিন্ন অংশে সঠিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য আয়রন অপরিহার্য। মহিলাদের প্রতি মাসে পিরিয়ড হয়। মাসিকের সময় রক্তক্ষরণের কারণে তাদের শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া গর্ভবতী মহিলাদেরও প্রচুর আয়রন প্রয়োজন। শরীরে যাতে আয়রনের ঘাটতি না হয় সেজন্য কিছু খাবার খাবার তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে।
ডার্ক চকোলেট
- এক টুকরো ডার্ক চকোলেট দৈনিক আয়রনের চাহিদার ১৯ শতাংশ প্রদান করতে পারে।
পালং শাক
- পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। ১০০ গ্রাম সবুজ শাকসবজিতে ২.৭ মিলিগ্রাম পর্যন্ত আয়রন পাওয়া যায়। পালং শাকও এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
লিভার বা মেটে
- ১০০ গ্রাম লিভারে ৬.৫ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। এছাড়াও, গরুর লিভার তামা, সেলেনিয়াম এবং বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজগুলির উত্স।
শুঁটিজাতীয় খাবার
- ছোলা, মটরশুটি, কিডনি বিন এবং মটরশুটি অন্তর্ভুক্ত করুন। এ ছাড়া সয়াবিন বা ডাল থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ডাল ৬.৬ মিলিগ্রাম আয়রন সরবরাহ করে।
মিষ্টি কুমড়া বীজ
- ২৮ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে ৪.২ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়ার বীজ ভাজা বা গুঁড়ো করে জলেতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
রেড মিট
- লাল মাংসে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন বি, সেলেনিয়াম, প্রোটিন ও জিঙ্ক পাওয়া যায়।
জলপাই
- ১০০ গ্রাম জলপাইয়ে ৩.৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এটি আমাদের শরীরের দৈনিক আয়রনের চাহিদার ১৮ শতাংশ পূরণ করতে পারে।
জেনে নিন
আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে উপস্থিত আয়রন শরীরকে সঠিকভাবে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে। প্লেটে সাইট্রাস ফল, টমেটো, সবুজ শাকসবজি ও ক্যাপসিকাম রাখুন। খাবারের সঙ্গে কমলা লেবুর রস পান করতে পারেন। আবার চা বা কফি শরীরে আয়রনের শোষণ কমিয়ে দিতে পারে।