কয়েক বছর আগেও গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে থানকুনি পাতার গাছ ছিল। পরে শহরতলির অনেক বাড়িতেও এই গাছ লাগানো হয়। কারো হাত-পা কেটে গেলে বা পেট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে থানকুনি পাতা চাওয়া হয়। কোনো না কোনো বাড়িতে পাওয়া যাবে নিশ্চিত। আয়ুর্বেদের প্রাচীন গ্রন্থেও এই পাতার অনেক গুণ বর্ণনা করা হয়েছে।
এই পাতার রস থেকে অনেক ওষুধও তৈরি হত। কিন্তু এখন এই পেজ খুব কমই দেখা যাবে। এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাও থানকুনি পাতা চেনে না। কিন্তু শরীরকে নানাভাবে সুস্থ রাখতে এই পাতার মিশ্রণ খুবই জরুরি। প্রতিদিন এই পাতার রস পান করলে কোনো সমস্যা হবে না।
তবে শুধু আমাদের দেশেই নয়, খ্রিস্টপূর্ব ১৭ শতক থেকে আফ্রিকা, জাভা, সুমাত্রায়ও এই পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর পাতার পেস্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও বেশ উপকারী। (গোটু কোলা) থানকুনি পাতার উপকারিতা দেখুন।
থানকুনি পাতা ভাজির উপকরণ
- ১/২ কাপ ছোটো চিংড়ি মাছ
- ১ কাপ থানকুনি পাতা
- ১/২ কাপের বেশী পেঁয়াজ কুচি
- ২ টি রসুনের রসুন কোয়া
- ১/৪ কাপ সেদ্ধ শাপলার ডাটা
- ৭-৮ টি চেরা কাঁচা লঙ্কা
- সামান্য হলুদ গুঁড়া
- স্বাদ মতো লবণ
- তেল পরিমাণ মতো

থানকুনি পাতা ভাজির রন্ধন প্রণালী
- প্যানে তেল গরম করে সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে রসুন কোয়া ও চেরা কাঁচামরিচ মিশিয়ে ভেজে নিন।
- রসুন সেদ্ধ হলে পেঁয়াজ দিন।
- পেঁয়াজের রঙ পরিবর্তন হলে শাপলার ডাটা ও চিংড়ি মাছ মিশিয়ে দিন।
- সবশেষে থানকুনি পাতা মিশিয়ে একটু ভাজা ভাজা করে নামিয়ে ফেলুন।
গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন থানকুনি পাতা ভাজি।